বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোর মণিরামপুর উপজেলার ২নং কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয় অবহেলায় এখন কাঠ গোলায় পরিনত হয়েছে। প্রায় ১৩ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়, দলীয় কার্যালয়ের এমন অবস্থা দেখে আওয়ামীলীগের কর্মীদের ভিতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে দেখা মেলে, মণিরামপুর উপজেলার ২নং কাশিমনগর ইউনিয়নের, কালার হাট মান্নান মোড়ে নির্মিত আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালের মধ্যে। সেখানে দেখা যায় ছাগলের অবাধ বিচারনে মলমূত্রের স্তুপ।পাশাপাশি কার্যলয়টি এখন কাঠগোলায় পরিনত হয়েছে। যেখানে ফার্নিচার তৈরী কাজ করার জন্যে কাঠ রেখে দিয়েছে কাঠ ব্যাবসাী,এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সহ একটি ব্যানার দেখে মনে হচ্ছে ছাগলের খড়ের মধ্যে একটা কাপড় বেধে রেখেছে যেটা ধুলা বালিতে ভরা।পাশাপাশি ব্যানারটি এমন ভাবে রাখা আছে মনে হচ্ছে কেও রাগ করে বেধে রেখেছে ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন অফিস ছিলো না,১৭ সালে শাহিন নামের এক ব্যাক্তির উদ্যেগে একটি অফিস করা হয়েছিলো,তখন মনে হতো কাশিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের একটা স্থান হলো দলীয় সর্ব বিষয় আলোচনা করার জন্যে। ১৮ সালের মাঝামাঝি এসে শাহিন নামের সেই ব্যাক্তি মারা যায়, তার পর থেকে অফিসটি এমন অবহেলায় পড়ে আছে,যেন দেখভালের জন্য কেও নেই।

এই বিষয়ে ২নং কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান নামে আছে আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয় সেখানে কোন কার্যক্রম হয় না, আমি নিজেই অনুতপ্ত অফিসের এই দূর অবস্থা দেখে, এক সময় এই কার্যালয়ে ফ্যান ছিলো চ্যায়ার ছিলো সব চুরি হয়ে গেছে, আমার বাসা লেবুগাতি আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে, কার্যালয়ের পাশেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চ্যায়রম্যান মোঃ তৌহিদুর রহমানের বাসা তিনি তো এ গুলা দেখভাল করতে পারতো, তিনি তা করেননি, এ গুলা চুরি করেছে কারা স্থানীয় লোক ছাড়া তো কেও নিবে না, নির্বাচনের সময় তো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছিলো আর নির্বাচন শেষ না হতে অফিসের দিকে ফিরেও তাকায় না তিনি।

সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস আরো বলেন আমি কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মিদের কাছে অনুরোধ করছি আসুন সকলে আমরা লবিং গুরুপিং বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যলয়টি মেরামত করি যদি তা সম্ভব না হয় তাহল বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও মানোনীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি দেওয়া ব্যানারটি খুলে রাখতে হবে।